এই মসজিদটির নাম কাঠহুগলী পাকা জামে মসজিদ। তবে গায়েবি মসজিদ নামে বেশি পরিচিত। এই মসজিদটি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার কাঠহুগলী গ্রামে অগস্থিত। কখন,কে বা কারা বানিয়েছেন এর কোনো সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। কারো কারো মতে এতি গায়েবি উঠেছে , আবার স্থানীয় কিছু লোক(যাদের বয়স ৮৫-১০০ বছর) বলছেন আমার (তাদের) দাদাও এটা তৈরির কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেন নি। তবে তারা ধারনা করছেন মসজিদটি প্রায় ৬০০ বছরেরও আগের। কারো মতে কার্তিকপুরের জমিদাররা তাদের কার্য পরিচালনার সার্থে একে কাচারি হিসেবে তৈরি করেছিল, কেউ বলেন এর প্রতিষ্ঠাতা খানজাহান আলি।
এলাকার মুরব্বিদের ধারনা এখানে কেউ কিছু নিয়ত করে দান করলে মনের
আশা পূর্ন হয়। তাই গাছের প্রথম ফল, পালের প্রথম মুরগি এখানে দান করেন।
মাঝে মাঝে দেখা যায় তাদের শিশু বাচ্চাকে জন্মের কিছুদিন পর প্রথম
এখানে নিয়ে এসে সালাম করে যান । মসজিদের প্রক্তন ঈমাম আলি আজগর(৭০) এবং মুসল্লি হাজী ফজলুর রহমান(৬৫) বলেন যখন এটাকে সংস্কার করা হয় তখন মসজিদটির চার পাশে নদীর মত ছিল। এখানে নৌকাযোগে আসতে হতো। মসজিদটির ভিতরে ছিল বট গাছের মত বিশাল লতা পাতা। বিশাল বিশাল সাপ, জোক, পোকামাকড়ের বাসা। সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মসজিদটির ভিতরে একটা সুরঙ্গ পথ ছিল যেটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে কেউ কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। স্থানীয় সূত্র জানায় তৎকালীন সময় পরিক্ষা করার জন্য এই সুরঙ্গপথে কিছু জেলেকে পাঠানো হয়েছিল যারা আর ফিরে আসেনি। পরবর্তিতে সুরঙ্গ পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লোকের ধারনা এই মসজিদে এসে কেউ কোনো মিথ্যা কথা বা কারো অনিস্ট কামনা করলে এর ফল সে( অনিস্টকারী) কিছুদিন পরেই পেয়ে যায়। বর্তমানে মসজিদের সংস্কার কাজ চলছে যার সভাপতিত্ব করছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হুসাইন খান। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা শরীয়তপুর পোর্টালকে বলেন টাকার অভাবে মসজিদের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পরেছে। মসজিদটি আকারে ছোট হওয়ায় মুছল্লিদের নামাজের যায়গা দিতে খুব সমস্যা হয়। তাই যদি সরকার ও শরীয়তপুরের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গ এর সংস্কার ও উন্নয়নে এগিয়ে আসেন তাহলে মুছল্লিদের বহুদিনের সমস্যার সমাধান হতে পারে
তথ্য সংগ্রহেঃ কামাল হোসেন (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , ও সোহান পাইক
আপনার মতামত দিন