শরীয়তপুর জেলা কীর্তিনাশা নদীর তীরে অবস্থিত। এ জেলার উল্লেখযোগ্য অসংখ্য নদীর মধ্যে রয়েছে পদ্মা, মেঘনা, দামুদিয়া, আরিয়াল খাঁ। এ সকল নদীর অসংখ্য শাখা নদীও রয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলাঃ কীর্তিনাশা,বিণোদপুর ও পালং নদী এবং নড়িয়া খাল উল্লেখযোগ্য।
জাজিরা উপজেলাঃ প্রধান নদী পদ্মা।
গোসাইরহাট উপজেলাঃ প্রধান নদী মেঘনা ও জয়ন্তী নদী।
ডামুড্যা উপজেলাঃ প্রধান নদী পদ্মা ও জয়ন্তী।
নড়িয়া উপজেলাঃ পদ্মা ও পালং। নড়িয়া খাল উল্লেখযোগ্য।
ভেদরগঞ্জ উপজেলাঃ পদ্মা ও মেঘনা নদী এবং বাংলাবাজার খাল উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন নদনদীর বিবরণ
পদ্মা নদী
পদ্মা বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এটি হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। পদ্মার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৫৭১ ফুট (৪৭৯ মিটার) এবং গড় গভীরতা ৯৬৮ফুট (২৯৫ মিটার)।রাজা রাজবল্লভের কীর্তি পদ্মার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে ধ্বংস হয় বলে পদ্মার আরেক নাম কীর্তিনাশা।
গতিপ্রকৃতিঃ হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় (মানাকোসা ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন) বাংলাদেশে প্রবেশ করে,এখান থেকে নদীটি পদ্মা নাম ধারণ করেছে। গঙ্গার অন্য শাখাটি ভগীরতি নামে ভারতে হুগলীর দিকে প্রবাহিত হয়। উৎপত্তিস্থল হতে ২২০০ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মিলিত প্রবাহ পদ্মা নামে আরো পূর্ব দিকে চাঁদপুর জেলায় মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। সবশেষে পদ্মা-মেঘনার মিলিত প্রবাহ মেঘনা নাম ধারণ করে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়।
দৈর্ঘ্যঃ পদ্মা বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী,এর দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার।
উপনদী এবং শাখানদীঃ পদ্মার প্রধান উপনদী মহানন্দা ও পুনর্ভবা। মহানন্দা উপনদীটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় এবং পুনর্ভবা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার বিভিন্ন শাখানদীর মধ্যে গড়াই, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব ইত্যাদি অন্যতম। আবার পদ্মার বিভিন্ন প্রশাখা নদীসমূহ হলো- মধুমতী, পশুর, কপোতাক্ষ ইত্যাদি। এই নদীগুলো কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালি ইত্যাদি জেলার উপর দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
তথ্য সুত্র: শরীয়তপুর জেলা তথ্য বাতায়ন
আপনার মতামত দিন