অবস্থানঃ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার অর্ন্তগত একটি ইউনিয়ন।
ইউনিয়েনে অবস্থিত বিশালদিঘির পশ্চিম তীরে অবস্থিত দিগন্ত বিস্তৃত শাখা-বিশিষ্ট বট-অশ্বত্থ বৃক্ষযুগল পাদদেশে কোন তত্ত্বজ্ঞ-তান্ত্রিক সন্যাসী সুদীর্ঘকাল আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক স্বরুপে কালী মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে অহর্নিশি সাধনা করতেন। ফলে এর আশে-পাশে জনবসতি গড়ে উঠতে থাকে। অনেক ব্রাক্ষ্মণ পরিবার এ পীঠস্থানের পাশে বসতি স্থাপন করে পীঠস্থানে নিয়মিত পূজা পার্বন করতে থাকেন। অবশেষে কোন এক সময় সেই তত্ত্বাজ্ঞ-তান্ত্রিক সন্যাসী সিদ্ধি লাভ করেন অর্থাৎ এ-পীঠস্থানেরই পার্শ্বের এক সাত্ত্বিক ব্রাক্ষণ পরিবারে শ্রীশ্রী দক্ষিণা কালী জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক সুন্দরী কন্যারুপে। শৈশব থেকেই সে ছিল এক অপরুপ রুপবর্র্তী কন্যা। তিনি প্রত্যহ পীঠস্থানের বট-অশ্বত্থবৃক্ষযুগলের নিকটবর্র্তী পশ্চিম পাশ্বর্স্থ একটি ছোট পুকুরে (পীঠ স্থানের জিয়স পুকুর নামে খ্যাত) স্নান সম্পন্ন করে ধ্যানমগ্ন ঐ সন্যাসির নিত্যকর্মে সহযোগীতা দান করতেন। সন্যাসীও বেশ মুগ্ধ হতেন এবং আদর স্নেহে তাকে আকৃষ্ট করে রাখতেন। রুপবর্তী কন্যাটি মাত্র অষ্টম বর্ষে পদাপর্ণ করলে সেকালে রীতি অনুযায়ী পিতা তাঁকে বিয়ে দিতে চাইলে কণ্যা তাতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে। তৎকালীন সামাজিক চাপে অসহায় পিতা হয়ে বর যোগাড় করে কনেকে পাত্রস্থ করতে মনস্থ করেন। নির্ধারিত বিয়ের তারিখের পূর্বের দিন দ্বি-প্রহরে কুমারী কন্য তাঁর আত্নীয়া মাঐমাকে সঙ্গে নিয়ে স্নানের উদ্দেশ্যে দিঘির ঘাটে যায়। কুমারী কন্যা একা-একাই স্বচ্ছসলিলা বিশাল দিঘিতে অবগাহন করতে এগিয়ে যায়। তার সংস্পর্শে দিঘির জল উত্তাল ও তরঙ্গময়ী হয়ে উঠে। কন্যাও তরঙ্গায়িত দিঘির জলের সঙ্গে খেলা করতে করতে মধ্য দিঘিতে চলে যায়।
ইউনিয়েনে অবস্থিত বিশালদিঘির পশ্চিম তীরে অবস্থিত দিগন্ত বিস্তৃত শাখা-বিশিষ্ট বট-অশ্বত্থ বৃক্ষযুগল পাদদেশে কোন তত্ত্বজ্ঞ-তান্ত্রিক সন্যাসী সুদীর্ঘকাল আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক স্বরুপে কালী মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে অহর্নিশি সাধনা করতেন। ফলে এর আশে-পাশে জনবসতি গড়ে উঠতে থাকে। অনেক ব্রাক্ষ্মণ পরিবার এ পীঠস্থানের পাশে বসতি স্থাপন করে পীঠস্থানে নিয়মিত পূজা পার্বন করতে থাকেন। অবশেষে কোন এক সময় সেই তত্ত্বাজ্ঞ-তান্ত্রিক সন্যাসী সিদ্ধি লাভ করেন অর্থাৎ এ-পীঠস্থানেরই পার্শ্বের এক সাত্ত্বিক ব্রাক্ষণ পরিবারে শ্রীশ্রী দক্ষিণা কালী জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক সুন্দরী কন্যারুপে। শৈশব থেকেই সে ছিল এক অপরুপ রুপবর্র্তী কন্যা। তিনি প্রত্যহ পীঠস্থানের বট-অশ্বত্থবৃক্ষযুগলের নিকটবর্র্তী পশ্চিম পাশ্বর্স্থ একটি ছোট পুকুরে (পীঠ স্থানের জিয়স পুকুর নামে খ্যাত) স্নান সম্পন্ন করে ধ্যানমগ্ন ঐ সন্যাসির নিত্যকর্মে সহযোগীতা দান করতেন। সন্যাসীও বেশ মুগ্ধ হতেন এবং আদর স্নেহে তাকে আকৃষ্ট করে রাখতেন। রুপবর্তী কন্যাটি মাত্র অষ্টম বর্ষে পদাপর্ণ করলে সেকালে রীতি অনুযায়ী পিতা তাঁকে বিয়ে দিতে চাইলে কণ্যা তাতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে। তৎকালীন সামাজিক চাপে অসহায় পিতা হয়ে বর যোগাড় করে কনেকে পাত্রস্থ করতে মনস্থ করেন। নির্ধারিত বিয়ের তারিখের পূর্বের দিন দ্বি-প্রহরে কুমারী কন্য তাঁর আত্নীয়া মাঐমাকে সঙ্গে নিয়ে স্নানের উদ্দেশ্যে দিঘির ঘাটে যায়। কুমারী কন্যা একা-একাই স্বচ্ছসলিলা বিশাল দিঘিতে অবগাহন করতে এগিয়ে যায়। তার সংস্পর্শে দিঘির জল উত্তাল ও তরঙ্গময়ী হয়ে উঠে। কন্যাও তরঙ্গায়িত দিঘির জলের সঙ্গে খেলা করতে করতে মধ্য দিঘিতে চলে যায়।
মাঐমা তাঁকে ফিরে আসার জন্য বারবার ডাকতে থাকেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সে মাঐকে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য উচ্চ স্বরে বলতে থাকে “মাঐ——সার,মা ঐ——-সার, বলতে বলতে কন্যাটি দিঘির অতল জলে তলিয়ে বিলিন হয়ে গেল। মাঐমা চিৎকার দিতে দিতে বাড়িতে গিয়ে অলৌকিক ঘটনাটি বিয়ে বাড়ীর সবার কাছে প্রকাশ করলেন। শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই চলে এসে শত চেষ্টা করেও দিগম্বরীর সন্ধান পাওয়া গেলনা। বিবাহোৎসব মূখরিত ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য যে, জন্ম থেকে অষ্টম বর্ষ পর্যন্ত এ কুমারী কন্য ন্যূনতম লজ্জা নিবারণ ব্যতীত কোন বস্ত্র পরিধান করে নি। তাই সকলে তাঁকে দিগম্বরী নামে ডাকতো। বিয়েরদিন প্রাতঃকালে জনৈক শাঁখারী মশাই যাচ্ছিলেন সাধকের সাধনস্থল নির্জন অশ্বত্থ-বটবৃক্ষের তলাদিয়ে ঐ বিয়ে বাড়ীতে , প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কনেকে বিবাহপূর্ব শাঁখা পরাতে। ঐ সময় অশ্বত্থ-বট বৃক্ষ-যুগলাভ্যান্তর থেকে এক মানব কন্ঠস্বর ভেসে এলো ‘শাখারী মশাই, আমাকে শাঁখা পরিয়ে দিন’। এই বলে বৃক্ষ যুগল্যা অভ্যন্তর থেকে দুটি নারী হস্ত কে যেন এগিয়ে দিলেন শাঁখারী মশাইয়ের হাতে শাঁখা পরাবার জন্য।
ভীতসন্ত্রস্ত শাঁখারী মশাই দুঁটি কোমল হস্তে শাঁখা পরিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে একটি ভাষ্য এলো- আমিই বিয়ে বাড়ীর কুমারী কণ্যা-দিগম্বরী। আমার বাবার কাছ থেকে শাঁখার মুল্য চেয়ে নিয়ে যাবেন।’ একথা জানাজানি হবার পর সন্যাসী গভীর নিশিথে ধ্যানমগ্ন হয়ে আদ্যাশক্তি মহামায়ার লীলা অবলোকন করতে পারলেন। দিনটি ছিল শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ।
“মাঐ——সার,মা ঐ——-সার, থেকেই মাঐসার, মাঐসার থেকে পরিবর্তিত হয়ে মহিসার নাম ধারণ করে।
ভীতসন্ত্রস্ত শাঁখারী মশাই দুঁটি কোমল হস্তে শাঁখা পরিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে একটি ভাষ্য এলো- আমিই বিয়ে বাড়ীর কুমারী কণ্যা-দিগম্বরী। আমার বাবার কাছ থেকে শাঁখার মুল্য চেয়ে নিয়ে যাবেন।’ একথা জানাজানি হবার পর সন্যাসী গভীর নিশিথে ধ্যানমগ্ন হয়ে আদ্যাশক্তি মহামায়ার লীলা অবলোকন করতে পারলেন। দিনটি ছিল শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ।
“মাঐ——সার,মা ঐ——-সার, থেকেই মাঐসার, মাঐসার থেকে পরিবর্তিত হয়ে মহিসার নাম ধারণ করে।
মহিষার এর নামকরণ নিয়ে আরো একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে মহিষ হতে মহিষার নাম এসেছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। তৎকালে মাদারীপুর-শরীয়তপুর জেলায় প্রচুর মহিষ ছিল। সবচেয়ে ভাল জাতের মহিষ ছিল মহিষার এলাকায়। শুধু মহিষ নয় এ এলাকায় প্রচুর ষাড়ও ছিল। মহিষ ও ষাড় হতে মহিষার নাম হতে পারে।
বর্তমানে মহিষার নাম হলেও বিভিন্ন সময় এর নাম বিভিন্ন ছিল যেমন মাঐসার, মহিষার মহিসার, মহীসার, মহিশার।
মহিষার ইউনিয়ন এর গ্রাম সমুহের নামকরণ
- মহিষার
- পুটিজুরী
- কাইচকুড়ি
- সাজনপুর
- ইসলামপুর
- পশ্চিম ধনই
- পম
- মির্জাপুর
আপনার মতামত দিন