আবদুর রব শিকদার

(শরীয়তপুরবাসী লেখক প্রোফাইল)

আবদুর রব শিকদার

( মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট লেখক, কবি, সংগঠক এবং  সমাজনেতা)

 লেখক ঠিকানা: লাকার্তা, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর ।

জন্ম: ১৬ আগষ্ট ১৯৪৭ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নস্থ লাকার্তা গ্রামে। শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস- “শরীয়তপুর অতীত ও বর্তমান” এর লেখক। বাংলা সাহিত্যের দীর্ঘতম প্রেমপত্র ইতি তোমারই নাঈম  আবদুর রব শিকদার এর অনবদ্য অবদান। ২০২১ সালে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর লেখক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ‘অতুলপ্রসাদ সেন-আবু ইসহাক সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন আঞ্চলিক ইতিহাস রচনায়। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জনাব শিকদার দাদা নাতির মধুর সম্পর্ককে অধিকতর নিবিড় করার লক্ষ্যে গ্র্যান্ড পেরেন্টস ডে সেলিব্রেশন কাউন্সিল বা জিডিসিসি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

জন্ম ১৬ আগষ্ট ১৯৪৭ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নস্থ লাকার্তা গ্রামে।  ছোট বেলায় মন্টু নামে লাকার্তা গ্রামে বিচরণ করেছেন চারণের মতো। পিতা- মরহুম আবদুল হক শিকদার, একজন নাবিক ছিলেন। মাতা- আম্বিয়া খাতুন, গৃহবধু।  উভয়েই পরলোকগত।

সহধর্মিণী লীনা ইয়াসমিন শিকদার, গ্র্যাজুয়েট ও গৃহবধু, সমাজসেবিকা।
দু পুত্র- ফয়সাল ও আসিফ দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত।

 

বড় ছেলে ফয়সাল মাহমুদ রনী,এমবিএ,সিএ কোর্স সমাপ্ত। কাজ করে বহু জাতিক প্রতিষ্ঠানে। ছোট ছেলে আসিফ মাহমুদ উপল।নিউইয়র্কে কর্মরত।

 

প্রাথমিক ও নিমাধ্যমিক পরীক্ষায় টেলেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত এবং ১৯৬৫ সালে দু-লেটার সহ মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া হাই স্কুল হতে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস। 
তিনি মাদারীপুর নাজিম উদ্দিন কলেজে পাঠকালে ৬৯ এর গণআন্দোলনে অন্যতম ছাত্র নেতা ছিলেন। এ কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করে পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। 
১৯৬৯ এর গণআন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭০ সালের নিজ এলাকায় আজিজুর রহমান হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

আবদুর রব শিকদার রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা টিসিবি’তে সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারূপে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৩ বছর একই সংস্থায় চাকরি করে। ক্রমপদোন্নতিসহ সর্বশেষ সংস্থার চীফ অফিসার (সরকারের যুগ্ম সচিব মানের) পদে কাজ করে ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক যুব সংগঠনে এপেক্স ক্লাবে  যােগ দিয়ে জাতীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। দক্ষতার জন্য তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ  সমুহের সম্মেলনে গােল্ডেন পিকক নামক পদক লাভ করেন যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের।
সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য তিনি এপেক্স বাংলাদেশ-এর ষাটতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অর্থাৎ ডায়মন্ড জুবিলি অনুষ্ঠানে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান “এপেক্স রত্ন” উপাধিতে ভূষিত করা। 
আবদুর রব শিকদার ২০২১ সালে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর লেখক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ‘অতুলপ্রসাদ সেন-আবু ইসহাক সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন আঞ্চলিক ইতিহাস রচনায়।
তথ্যসুত্র:  অতুলপ্রসাদ সেন-আবু ইসহাক সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা (দৈনিক আমাদের সময়)

বাংলা সাহিত্যের দীর্ঘতম প্রেমপত্র ইতি তোমারই নাঈম আবদুর রব শিকদার এর অনবদ্য অবদান। পুস্তকখানি সুধী মহলে সমাদৃত হয়েছে। এছাড়া তিনি শমরিতাঃ তুমি এসো নামক একখানি কাব্য গ্রন্থ  রচনা করেছেন।  তার আত্নজীবনী মূলক গ্রন্থ জীবন এক বহতা নদী এক বড় মাপের কাজ। এপেক্স ক্লাবের উপরো তার এপেক্স দিশারি নাম একতি তথ্য মূলক পুস্তক রয়েছে যা এদেশের এপেক্স আন্দোলনকে গতিশীল করতে সহায়তা করছে।

আবদুর রব শিকদার তাঁর গ্রাম লাকার্তা,এপেক্স ক্লাব ও শরীয়তপুর জেলার উপর তিনটি সঙ্গীত রচনা করেছেন যা ব্যাপকভাবে দেশব্যাপি জন প্রিয়।

 

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জনাব শিকদার দাদা নাতির মধুর সম্পর্ককে অধিকতর নিবিড় করার লক্ষ্যে গ্র্যান্ড পেরেন্টস ডে সেলিব্রেশন কাউন্সিল বা জিডিসিসি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

তিনি এপেক্স নামক একটি আন্তর্জাতিক যুব ক্লাবের বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি ছিলেন। (১৯৮৭-১৯৮৮)। বর্তমানে তিনি এ ক্লাবের লাইফ গভর্ণর। সম্প্রতি তিনি এ ক্লাব হতে আজীবন সম্মাননা লাভ করেছেন। তিনি এপেক্স ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৃষ্ঠপোষক।

উত্তরা লেখক শিল্পী ক্লাব ও উত্তরা সাহিত্য পরিষদের সদস্য।

তিনি টিসিবি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি টিসিবি প্রাক্তন কর্মকতা কল্যাণ সমিতির বর্তমান সভাপতি।

বর্তমানে তিনি দাদা-দাদির, নানা-নানির গৌরবময় ঐতিহ্যকে স্মরণ রেখে নব প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে দেশ ও বিশ্বব্যাপী এ্যান্ডপেরেন্টস ডে উদযাপনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচেছন। বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের বাংলাদেশের চেয়ারম্যান।

ভারত থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সফর করেছেন।
ভ্রমণ, বন্ধু  সঙ্গ লাভ, আজ্ঞা দেয়া ও লেখালেখি,, বাগান ।

০১) আদর্শ বাংলাদেশ গঠন করণে সাধ্যমত ভূমিকা রাখা।
০২) বিশ্বব্যাপী গ্রান্ডপেরেন্টস ডে উদ্যাপিত হােক এ প্রত্যাশা।

“দিন সময় পাল্টে যাচ্ছে।সময়ের সাথে তাল মেলাতে না পারলে পিছিয়ে পড়বে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে জ্ঞান অর্জন করা সহজ ব্যাপার।নিজের মন মানসিকতাকে উন্নত করতে হবে। শিক্ষিত লোকদের সমাজে কোন না কোন উপায়ে অবদান রাখতে হবে। শরীয়তপুরের মাটি,বাতাস,প্রকৃতি আমাদের বাঁচার প্রধান উপাদান। এই মাটিকে ভালো বাসতে হবে।সমাজের বিভিন্ন অপকর্ম,দুর্নীতি দূর করার সংগ্রামে সক্রিয় নেতৃত্ব দিতে হবে।নিজে একজন মার্জিত,পরিশীলিত ভদ্র লোক হয়ে সুন্দর সমাজ ও পরিবেশ গঠন করে আসুন আমরা সমৃদ্ধ শরীয়তপুর গড়ে তুলি।
 
 
যোগাযোগঃ এপার্টমেন্ট আই/৬, বাড়ি নং-২২/এ, রােড নং-৩/এ, সেক্টর- ০৫, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। মোবাইলঃ ০১৭১৬১৫১০৭৪ । Email : arsikder49@gmail.com ফেসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/abdurrob.sikder.39

ছাত্রজীবন হতেই তিনি বিভিন্ন লেখালেখিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন।

আবদুর রব শিকদার লেখকের প্রকাশিত বইপত্র
১।  শরীয়তপুর অতীত ও বর্তমান (১৯৯২) প্রথম প্রকাশ
২।  ইতি তোমারই নাঈম (১৯৯৪) পত্র পুস্তক
৩।  শমরিতা তুমি এসো (১৯৯৫) কাব্যগ্রন্থ
৪।  এপেক্স দিশারি (১৯৯৬) প্রথম প্রকাশ
৫।  এপেক্স দিশারি (২০০৪) দ্বিতীয় প্রকাশ
৬ ।  জীবন এক বহতা নদী (আত্মজীবনীমূলক পুস্তক-২০০৬)
৭।  শরীয়তপুর অতীত ও বর্তমান (২০০৭) দ্বিতীয় প্রকাশ
৮।  বাংলাদেশ নবম জাতীয় সংসদ ২০০৯-২০১৪-জাতীয় সংসদ সম্পর্কিত পুস্তক
৯।  মুক্তিযুদ্ধে শরীয়তপুর 

১০।  গ্রামের নাম লাকার্তা (২০১৪)


১১  শরীয়তপুর অতীত ও বর্তমান (তৃতীয় সংস্করণ) প্রকাশের পথে । 

১২। আমার কবিতা গুলো (কাব্য গ্রন্থ)

১৩। আব্দুর রব শিকদার নির্বাচিত ১০০ কবিতা

১৪। গোধুলী বেলার কবিতা (কাব্যগ্রনথ)
এছাড়া তাঁর বহু প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ছোট গল্প, কবিতা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও স্মরণিকায় ছাপা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন