গুরু প্রসাদ সেন

  গুরু প্রসাদ সেন

(1843-1900)
বাংলাদেশের প্রথম এম.এ

জন্মঃ শরীয়তপুর এর ডোমসার গ্রামে।

পদবী: বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম এম.এ. পাশ

জন্ম ২০ মার্চ ১৮৪৩ সাল শরীয়তপুর এর ডোমসার গ্রামে। পিতার নাম কাশীচন্দ্র। বাল্যে পিতৃবিয়োগের ফলের মাতুল রাধা নাথ কর্তৃক প্রতিপালিত হন । ঢাকা পোগোজ স্কুল খেকে বৃত্তিসহ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি এম এ পাশ করেন । তৎকালীন সমগ্র পূর্ব বঙ্গ অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে জন্ম গ্রহনকারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এম এ । ১৮৬৫ সালে বি,এল পাশ করে কৃষ্ণনগর ও বাকিপুরে কাজ করেন । তারপর তিনি প্রধান প্রধান জমিদারগনের আইন উপদেষ্টা ছিলেন । তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা নীলকর চাষীদের পক্ষাবলম্বনে সংগ্রাম । প্রধানত তাঁরই চেষ্টায় বিহারের নীলকর চাষীগন অত্যাচার মুক্ত হয় । বিহারের প্রথম ইংরেজী পত্রিকা বিহারে হেরালড(১৮৭৪)প্রকাশের কৃতিত্ব ও তারই । এ সাপ্তাহিক প্রত্রিকার সাহায্যেই জনসাধারণের সমক্ষে সংগ্রাম করে তাদের বন্ধু হয়ে উঠেন। দরিদ্র ছেলেদের জন্য হোষ্টেলে এবং ঢাকা ওবাকিপুরে দুটি স্কুল স্থাপন করেন । নিজ গ্রামে ও রাস্তাঘাট নির্মানও তিনি উদ্যোগী ছিলেন । ১৮৯৫ সালে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ও পরের বছর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন । সোম প্রকাশ পত্রিকায় প্রবন্ধ প্র্রকাশের মাধ্যমে বাঙালি পাঠক শ্রেণীর কাছে তিনি পরিচিত হন । জুরির বিচার ব্যবস্থা ওঠানোর চেষ্টা হলে তাঁর রচিত ইংরেজী পুস্তিকা বিলাতেও প্রশংসা অর্জন করেছিল ।

বিধবা বিবাহের তিনি সমর্থক ছিলেন।বিপথগামী মেয়েদর বিবাহ ও পুর্নাবাসনের পক্ষে তিনি নিবন্ধাদি লিখেছেন । তিনি কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা ছিলেন । ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে দু’পুত্র সহ তিনি বিলাত চলে যান । দেশে ফেরার পথে রোমে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন এবং বাকিপুরে স্বগৃহে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯০০ সালে তিনি মারা যান

আপনার মতামত দিন