রথীন্দ্র সাহিত্য পরিষদ

রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী সম্পর্কেঃ 

সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরীর জন্ম ১৯২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর জেলার দক্ষিণ বালুচর গ্রামে। বাবা সূর্যকান্ত ঘটক চৌধুরী ছিলেন ওই অঞ্চলের জমিদার। রথীন্দ্রকান্ত তুলাসার গুরুদাস উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পাস করে শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। তারপর বিদ্যাসাগর কলেজে বিএ ক্লাসে ভর্তি হলেও পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে শরীয়তপুর ফিরে আসেন। জমিদার পরিবারে জন্মেও জমিদারপ্রথার বিপক্ষে ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তরকালের দাঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকায় লঙ্গরখানা ও চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের জন্য গ্রেপ্তার হন। একপর্যায়ে কলকাতা পালিয়ে যান এবং ১৯৫০ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন। সে মসয় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যয়, ঋত্বিক ঘটকের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে রথীন্দ্রকান্ত স্থানীয়ভাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ২৬ মার্চ শরীয়তপুরের পালং থানায় ‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। সে অঞ্চলে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় তাঁরই সভাপতিত্বে। অসংখ্য কবিতা লিখলেও ‘পূর্বাপর’ তাঁর একমাত্র কাব্যগ্রন্থ। ব্যাপক গবেষণা করেছেন। লালন ফকির, কাঙাল হরিনাথ, গগন হরকরা, হালিম বয়াতি প্রমুখ লোকগায়ক ও গবেষককে নিয়ে গবেষণা করেছেন। মুুর্শিদি, ভাটিয়ালি, কবিগান, জারিগান ও ভাওয়াইয়া গান জনপ্রিয় করায় তাঁর অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। রবীন্দ্রজীবনে শেষ শ্রদ্ধাবাসরের সম্মাননাপত্র লেখা ও পাঠ করার দায়িত্ব পালন তাঁর সাহিত্যকীর্তির অন্যতম উদাহরণ। ১৯৮৮ সালের ১৫ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

সংগঠন সম্পর্কেঃ

সাধারণ সম্পাদকঃ  শ্যাম সুন্দর দেবনাথ

 

তথ্যসুত্রঃ দৈনিক রুদ্রবার্তা ও কালের কন্ঠ।

 

রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী ও  রথীন্দ্র সাহিত্য পরিষদ সম্পর্কে আরো তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন। 

 

আপনার মতামত দিন