মাদ্রাসায় এতিম ছাত্রীদেরকে বিনা পয়সায় নাজরানা থেকে দাওরা হাদীস পর্যন্ত আবাসিক ভাবে রেখে পড়াশুনা করানো হয়।
বেগম লুৎফুন্নো মহিলা মাদরাসার ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মনুয়া গ্রামে কোলাহলমুক্ত একছায়া নীবিড় মনোরম পরিবেশে ২০০১ ইং সালে বেগম লুৎফুন্নেছা মহিলা মাদরাসাটি স্থাপিত হয় । মাদরাসায় মোট ওয়কফকৃত জমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ । মাদরাসায় তিন তলা ভবন বিশিষ্ট একটি ক্যাম্পাস রয়েছে । হিফজুল কুরআন বিভাগসহ মক্তব থেকে দাওরায়ে হাদীস [তাকমীল] র্পযন্ত লেখা-পড়ার সুব্যস্থা রয়েছে । প্রতি বছর বিভিন্ন শ্রেণীতে ৩০ থেকে ৩৫ জন এতিম ছাত্রীদের সর্ম্পূণ ফ্রি লেখা-পড়ার ব্যবস্থা বিদ্যমান । মাদরাসার প্রধান পৃষ্টপোষক ও মুরব্বী : বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশে [বাংলাদেশে কওমী মাদরাসা শিক্ষা র্বোড]’র সম্মানিত মহাসচিব ও ঐতিহাসিক জামিয়া আরাবিয়া এমদাদুল উলূম [ফরিদাবাদ মাদরাসা]’র স্বনামধ্য মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস দা.বা.- এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠাকলীন থেকে বর্তমান পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে । মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি : শরীয়তপুর জেলার প্রবীণ মুরুব্বী ও জেলার শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রমের উদ্যোক্তা ও গুনিজন জনাব আলহাজ্ব আজিজুল হক মল্লিক। যার অদম্য চিন্তা ও চেতনা এবং সার্বক্ষনিক মেহনতের বদৌলতে জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কওমী মহিলা মাদরাসা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। যা শরীয়তপুর জেলায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সর্ব্বোচ্চ শ্রেণী দাওরায়ে হাদীস [মাস্টার্স] খোলা হয় এবং অদ্যাবদি সুনামের সহিত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে । মাদরাসায় যথাক্রমে চারটি বিভাগ রয়েছে : ১] নূরানী মক্তব বিভাগ ২] নাজেরা বিভাগ ৩] হিফজুল কুরআন বিভাগ ৪] কিতাব বিভাগ {দাওরায়ে হাদীস [মাস্টার্স] পর্যন্ত} । উক্ত বিভাগসমূহ ২০০৩ ইং সাল থেকে অদ্যাবদি ৩৫ থেকে ৪০ জন এতিম ছাত্রীদের সম্পূর্ণ ফ্রী থাকা খাওয়াসহ লেখা- পড়ার ব্যবস্থা করা হয়ে আসছে । প্রতি ১জন এতিম ছাত্রীর জন্য বিভিন্ন দানশীল ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিদের পক্ষ থেকে বর্তমানে বাৎসরিক ২০,০০০/-[বিশ হাজার] টাকা অনুদানের মাধ্যমে খরচ বহন করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র ও দ্বীনের খেদমতের ব্যবস্থা করা সহ সময়োপযোগীভাবে উপযুক্ত পাত্রস্থ করা হয় । মাদরাসার মক্তব বিভাগ থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত : প্রায় ৩০০ জন ছাত্রী স্বল্প খরচে ইলমেদ্বীন শিক্ষা গ্রহন করে আসছে এবং অত্র শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬ [ছয়] জন পুরুষসহ ১০ [দশ] জন মহিলা সর্বমোট ১৬ [ষোল] জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োজিত রয়েছে । সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দাসহ লেখা-পড়া নিশ্চিত করতে ১ [এক] জন মহিলা দারোয়ান ও আয়াসহ সর্বমোট ৭ [সাত] জন কর্মচারী নিয়োজিত রায়েছে। # ইলম শিক্ষার সাথে সাথে প্রত্যেক ছাত্রীকে দ্বীনের দায়ী, আমলদার, নেককার, মুত্তাকী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্নসময়ে দেশ ও বিদেশের খ্যাতমান বুযুর্গানে দ্বীনের মাধ্যমে ইসলাহী তা’লীম ও তরবিয়াতী মজলিসের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে । # মাদরাসার বর্তমান ৩ তলা ভবনে ছাত্রী সংখ্যা সংকুলান না হওয়ায় পশ্চিম দিকে আরও একটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে । ইনশাআল্লাহ অল্প দিনের মধ্যেই উক্ত ভবনের কাজ শুরু হবে এবং আগামীতে আরও বেশি ছাত্রী ইলমে দ্বীন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে । মাদরাসার সকল আয়-ব্যয়ের খাত : সম্পূর্ণ শরয়ী অনুযায়ী পরিচালিত হয় । প্রতেক খাতের টাকা নিদৃষ্ট খাতেই ব্যয় করা হয় এবং বাৎসরিক অডিটের মাধ্যমে হিসাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয় । |
আলহাজ্জ্ব মোঃ আজিজুল হক মল্লিক। বিস্তারিত |
|
তথ্যসুত্রঃ দৈনিক রুদ্রবার্তা, বেগম লুৎফুন্নেছা মহিলা মাদরাসার প্রচার পত্র।
বেগম লুৎফুন্নেছা মহিলা মাদ্রাসা সম্পর্কে আরো তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।
আপনার মতামত দিন