পালং ইউনিয়ন পরিচিতি

প্রেক্ষাপটঃ শরীয়তপুর নামে কোন স্থান না থাকলে্ও প্রথমে মহকুমা ও পরে জেলার নাম হয় শরীয়তপুর। জেলা সদরের পূর্বতন নাম পালং। এটি খুবই প্রাচীন জনপদ। ১৮১১ সালে ফরিদপুরে স্বয়ংসম্পুর্ণ রাজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়ে তখন বাকেরগঞ্জ জেলার গৌরনদী থানা, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানা ও মানিকগঞ্জ মহকুমা ফরিদপুরের অর্ন্তগত ছিল।১৮৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত “ক্যালকাটা গেজেট” থেকে মাদারীপুর মহকুমার থানা হিসেবে মাদারীপুর, পালং, ডামুড্যা, গোসা্ইর হাট ও শিবচর থানার নাম পাওয়া যায়। ১৮৮১ সালের সালের ৯ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পালং থানার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ এর আগে থেকেই এটি থানা হিসেবে চালু ছিল পালং এখন আর প্রশাসনিক থানা নয়। । ১৯৭৭ সালে মহকুমা স্থাপনের মাধ্যমে পালং এর নাম পরিবর্তন করে শরীয়তপুর সদর রাখা হয়।
পালং শরীয়তপুর জেলার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত।
কালক্রমে পালং নামে একটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কালের স্বাক্ষী বহনকারী কৃর্তীনাশা নদীর তীরে গড়ে উঠা শরীয়তপুর সদর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো এ পালং ইউনিয়ন ।

 ঐতিহাসিক বিবরণ
প্রসিদ্ধ হাট ও বাজার । এখানে অনেক দোকান-পশারী, কাঁশারীদের দোকান, মনোহারী দোকান ইত্যাদি বহুবিধ দ্রব্যাদির আমদানী হইয়া থাকে।
তথ্যসুত্রঃ বিক্রমপুরের ইতিহাস, অম্বিকাচরণ ঘোষ ও যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, প্রকাশকালঃ  বঙ্গাব্দ ১২৭৫।

নামকরণঃ পালঙ্ক কে আঞ্চলিক ভাষায় পালং বলা হয়। তাই ধারণা করা হয় যে ‘পালং’ নামের পশ্চাতে ‘পালঙ্ক’ শব্দের যোগ রয়েছে-পালঙ্ক>পালং। আবার মগ অধিবাসীদের ভাষায় গ্রামকে পালং বলা হয়। মগদের আগমনের গ্রাম হিসেবে পালং হতে পারে।

গ্রামসমুহঃ শরীয়তপুর পৌরসভা গঠনের পর অবশিষ্ট ০৯টি গ্রাম নিয়ে পালং ইউনিয়ন পরিষদ  গঠিত হয়েছে, বর্তমানে যে ০৯টি গ্রাম নিয়ে পালং ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে তা হল ১। পূর্বকোটাপাড়া, ২। নড়বালাখানা, ৩ । আটিপাড়া, ৪। ভুচুড়া, ৫। গংগাধরপট্রি, ৬।ধামসী, ৭।পাটনীগাওঁ, ৮।চাদঁসার  ৯।দাত্রা

আপনার মতামত দিন