প্রতিষ্ঠাকাল ও সংস্কার: ১৯৭৭ সালের ১ নভেম্বর শরীয়তপুর মহকুমা উদ্বোধনের পর ১৯৭৮ সালে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮০ সালে উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠিত হয়। একটা সময় মেলা আর সার্কাসের নিয়মিত ভেন্যু ছিল জেলা স্টেডিয়াম। শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে প্রথম পর্যায়ে কোন গ্যালারী ছিল না। স্টেডিয়ামের পশ্চিম পার্শ্বে ছোট একটি একতলা প্যাভিলিয়ন ভবন ছিল। পরবর্তীতে প্যাভিলিয়ন ভবনকে দ্বিতল ভবনে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯১- ১৯৯৫ সালে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ২০০ (দুইশত) ফুট গ্যালারী নির্মাণ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ৩০০ (তিনশত) ফুট গ্যালারী, নতুন প্যাভিলিয়ন ভবন, •নিরাপত্তা বেষ্টনী, ড্রেন ও মাঠের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়।
নামকরণ: এ স্টেডিয়ামের পূর্ব নাম ছিল শরীয়তপুর স্টেডিয়াম। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক শরীয়তপুর স্টেডিয়ামকে “বীরশ্রেষ্ট ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ” নামকরণ করা হয়।
খেলাধুলা ও অর্জন: শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে সাধারণত: ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, হকি, ব্যাডমিন্টন ও এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে শুভংকর নাগ অনুর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন এবং মোঃ নাহিদ হোসেন অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলেছেন। আংগারিয়া প্রসিদ্ধ নাগ ক্রীড়া পরিবারের সন্তান জনাব টুটুল কুমার নাগ আবাহনী, ঊষা ক্রীড়া চক্র ও জাতীয় হকি দলের বিখ্যাত খেলোয়াড় ছিলেন।
শরীয়তপুর জেলা স্টেডিয়ামে ২০১৫ সালের মার্চে ৩৭ হাজার বর্গফুটের মানব মানচিত্রে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত ধ্বনিত হয়েছিল ১০ হাজার মানুষের কণ্ঠে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসন জেলা স্টেডিয়ামে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মাঠে আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্রে একসঙ্গে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা দাঁড়িয়ে দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে সম্মিলিত কণ্ঠে গাইতে থাকেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’ সেই স্মৃতি এখনো অমলিন শরীয়তপুরবাসীর হৃদয়ে।
তথ্যসুত্র: ব্রান্ড বুক, সোনালী সেতুর শ্যামল ভুমি, (প্রকাশক: শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন) ও জেলা তথ্য বাতায়ন।
কালেরকন্ঠ।
আপনার মতামত দিন