পণ্ডিতসার শ্যামপুরী হুজুরের মাজার (চিশতীনগর)

 

পন্ডিতসারে শ্যামপুরি হুজুরের মাজার শরীফ অবস্থিত। পৃথিবীর বহুস্থান থেকে এখানে লোক সমাগম হয়ে থাকে। প্রতি বছর ১১ পৌষ হতে তিন দিনের ওরস হয়। এ ছাড়া পহেলা জ্যৈষ্ঠ তারিখে হযরত শাহ্ সূফি সৈয়দ গোলাম মাওলা হোসায়নী চিশতী শ্যামপুরী (র:) বা শ্যামপুরী হুজুর এর আবির্ভাব দিবস হিসেবে রোজে মোকাদ্দাস দিবস হিসাবে পালিত হয়।

নড়িয়া উপজেলার পণ্ডিতসার গ্রামে লক্ষ লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক ও জাগতিক কল্যাণ কেন্দ্র “চিশতীনগর” অবস্থিত। মহাত্মা অলি আল্লাহ হযরত শাহসুফি সৈয়দ গোলাম মাওলা হোসায়নী চিশতী শামপুরী (রহ:) ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে চিশতিয়া তরিকার অনুসরণে শরীয়ত ও তরিকত ভিত্তিক ধর্মীয় চর্চার কেন্দ্র “চিশতীনগর খানকায়ে চিশতিয়া” প্রতিষ্ঠা করেন।

অবকাঠামোগত শৈল্পিক সুষমা এবং সুশৃঙ্খল ও সুচারু ব্যবস্থাপনা নিয়ে “চিশতীনগর” নামে এ প্রতিষ্ঠান দেশ বিদেশে পরিচিত। ধর্মীয় কর্মতৎপরতার সাথে জনকল্যাণ মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সহ অবস্থান এ প্রতিষ্ঠানকে ব্যতিক্রমি করে তুলেছে। প্রতিবছর ১১ ও ১২ পৌষ তারিখে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলাম প্রচারক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হযরত খাজা গরীব নাওয়ায মুঈনুদ্দীন চিশতী আজমেরী (রহঃ) এর বার্ষিক উরস মোবারক এখানে পালিত হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্ত গ্রাম মানুষের সমাবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানই এখানে সর্ববৃহৎ। প্রতিষ্ঠানের জনকল্যাণ মূলক উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সেচ প্রকল্প, বন্যার্তদের চিকিৎসা শিবির, দরিদ্র মেধাবীদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা, প্রবীণদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, প্রাত্যহিক নিয়মিত লংগর ইত্যাদি। কঠোর অসাম্প্রদায়িকতা ও অরাজনৈতিকতা এ প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য।

 

তথ্যসুত্র: ব্রান্ড বুক, সোনালী সেতুর শ্যামল ভুমি, (প্রকাশক:  শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন) ও জেলা তথ্য বাতায়ন।

আপনার মতামত দিন