শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের পুর্ব নাম গরীবেরচর।
প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে ব্রিটিশ সরকারের নজর পরে মেঘনার পাড়ে অবস্থিত একটি এলাকার উপর। বিভিন্ন এলাকার লোকজন জীবিকার সন্ধানে এ অঞ্চলে বসবাস করতে থাকলে তাদের উপর খাজনা আরোপ করে ব্রিটিশ সরকার। এ উদ্দেশ্যে তারা উক্ত এলাকায় ভূমি কর নিরুপণের জন্য কয়েক জনের একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করলে এলাকাবাসীর কপালে চিন্তার রেখা ফুটে ওঠে। প্রচলিত আছে তখন বিচক্ষণ এক ব্যক্তি এলাকার সমস্ত অধিবাসীদের ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘরের বাতি জ্বালাতে নিষেধ করে এবং কোন ধরণের খাবার রান্না না করার অনুরোধ করেন। ফলে না খেতে পেয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যার সময় কান্না করতে থাকে তার উপর অন্ধকার হওয়ার কারণে আরো বেশি ঘুমন্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঠিক এমন সময় উক্ত ব্যক্তি প্রতিনিধি দলের সাথে বের হন এলাকা পরিদর্শন করতে। অন্ধকার আর বাচ্চাদের চিৎকার-চেচামেচি দেখে প্রতিনিধি দল জিজ্ঞেস করে, ব্যাপার কি? বিচক্ষণ লোকটি তখন উত্তর দেয় যে, এরা কেরোসিনের অভাবে ঘরে সন্ধ্যার বাতি জ্বালাতে পারে না। দিনে একবেলা খাওয়ার কারণে বাচ্চারা সন্ধ্যা হলেই খাবারের জন্য কান্নাকাটি করতে করতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি দল এ দেখে মন্তব্য করেন এ তো “গরীবের চর!” এরা খাজনা দিবে কি করে? সেই থেকেই উক্ত এলাকাটির নাম হয়ে যায় “গরীবের চর।”
আপনার মতামত দিন