![](https://shariatpurportal.info/wp-content/uploads/2022/10/sapnoachura-gronthogar-128x300.jpg)
স্বপ্নচূড়া গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাকাল ও প্রেক্ষাপট:
“১টি বই, ১টি লাইব্রেরি” তত্ত্বটির বাস্তবিক রূপই আজকের “স্বপ্নচূড়া গ্রন্থাগার”। ঐতিহ্যবাহী বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ১৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাত ধরে ৩০ মে ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গ্রন্থাগারটি। ভৌগলিকভাবে গ্রন্থাগারটির অবস্থান শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত উপসী গ্রামে। বর্তমানে ১টি কোচিং সেন্টারকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হলেও গ্রন্থাগারটির রয়েছে নিজস্ব সংবিধান বা গঠনতন্ত্র যা অনুসরণ করেই সম্পাদিত হয় সকল কার্যক্রম। ১৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত গ্রন্থাগারটিতে রয়েছে ১টি বুক শেল্ফ, ১৫৬ টি বই এবং ৮৯ জন সদস্য।
সদস্য ও বই বিনিময় প্রক্রিয়া:
১টি বইয়ের বিনিময়েই পাওয়া যায় সদস্যপদ তবে সদস্য কিংবা সদস্য বহির্ভূত যেকেউই নির্দিষ্ট কিছু বিধান অনুসরণ করে গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়তে পারে। বই নেয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে একজনকে অবশ্যই লাইব্রেরী কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। লাইব্রেরি কার্ড পেতে আপনাকে এ গ্রন্থাগারে কমপক্ষে একটি বই প্রদান করতে হবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ক্ষুদ্র পরিসরে পরিচালিত এই গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে অবাধ স্বপ্ন- একদিন স্থায়ী ঠিকানা হবে, হাজারো বই থাকবে, পাঠক হবে সীমাহীন এবং সর্বোপরি তৈরি হবে সাহিত্য চর্চার এক অনন্য ক্ষেত্র। স্বপ্নচূড়া গ্রন্থাগার একদিন স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ ফাউন্ডেশন স্বপ্নচূড়া গ্রন্থাগার পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষকে সহায়তা ও রক্তদাতা ও গ্রহীতাদের নিয়ে কাজ করবে।
স্বপ্নচূড়া গ্রন্থাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাফিজ স্যারের কোচিং সেন্টার, উপসী, নড়িয়া, শরীয়তপুর।
তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা: মৃদুল কাজী, গ্রামঃ উপসী, ইউনিয়নঃ ভোজেশ্বর, থানাঃ নড়িয়া, জেলাঃ শরীয়তপুর।
আপনার মতামত দিন