শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন বাসের পরিচিতি ও ফোন নম্বর

শরীয়তপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা : 

১৯৯২ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত পশ্চাদপদ ছিল এটা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। সারা জেলার মধ্যে মাত্র ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাঁকা ছিল। জেলাটি মূলত নতুন করে সৃষ্টি হওয়ার ফলেই এ ধরণের অবস্থা। তবে জেলা সৃস্টি হওয়ার ফলে ক্রমে ক্রমে রাস্তা ঘাটের উন্নতি হচ্ছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত অবশ্য প্রত্যেক উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি প্রায় অধিকাংশ গ্রামের সাথেই সড়ক যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। পূর্বে শরীয়তপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে দেশের রাজধানী ও অন্যান্য জেলায় যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌ পথে। কাঁচারাস্তায় সেই বালার চর হতে জনসাধারণকে অন্তত ৩৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে আঙ্গারিয়া গিয়ে সেখান থেকে লঞ্চে মাদারীপুর গিয়ে মামলা মোকদ্দমা করতে হতো। পূর্বের জেলা সদর ফরিদপুর যেতে শরীয়তপুরের কোন কোন গ্রামবাসীর কমপক্ষে ২দিন সময় লাগতো। ক্রমে ক্রমে রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের সাথে সাথে এবং শরীয়তপুরে জেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে সে অসুবিধা কিছুটা লাঘব হয়েছে। বর্ষাকালে নৌকাই ছিল প্রধান বাহন। ১৯৫০ সালের পূর্বে এ অঞ্চলের জনসাধারণ গয়নার নৌকা করে পাশ্ববর্তী চাঁদপুর, ঢাকা বা নারায়নগঞ্জে যাতায়াত করতো। নৌকায় করে দক্ষিণে ভাটির দেশ বরিশালে গিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে গয়নার নৌকার স্থান দখল করলো লঞ্চ ও স্টিমার। পূর্বে ভোজেশ্বর, সুরেশ্বর ও পট্টিতে স্টিমার ঘাট ছিল। কিন্তু বর্তমানে ঐ স্থানেআর স্টিমার ভিড়তে পারছেনা। ১৯৯১ সালের দিকে পট্টিতে নতুন করে স্টিমার ভিড়ে। বর্ষাকালে শরীয়তপুর, ওয়াপদা ঘাট, আঙ্গারিয়া, ভোজেশ্বর, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, লাউখোলা, ডামুড্যা, সুরেশ্বর, পট্টি প্রভৃতি স্থান হতে লঞ্চের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যায়। শুষ্ক মৌসুমে শুধুমাত্র সুরেশ্বর, ওয়াপদা ঘাট, লাউখোলা ও পট্টি লঞ্চ ভিড়ে। বর্ষাকালে মূল বাহন নৌকা। ইদানিং ট্রলার চালু হওয়ায় যাতায়াত কিছুটা সহজতর হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে অবশ্য কাঁচা রাস্তা দিয়েও রিক্সা চলাচল করতে পারে। সব ক’টি থানার সঙ্গেই এখন পাঁকা রাস্তায় যাতায়াত করা যায়। সেখান থেকে লঞ্চে ঢাকা বা চাঁদপুর যাওয়া যায়। বহুকাল পর্যন্ত শরীয়তপুরের জনসাধারণের রাজধানীতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমেই ছিল লঞ্চ। শুষ্ক মৌসুমে সুরেশ্বর, ওয়াপদা ঘাট, লাউখোলা ও পট্টিহতে জনসাধারণ লঞ্চে উঠে ঢাকায় পৌছেন।
তথ্য সুত্র:  শরীয়তপুর জেলা তথ্য বাতায়ন। 

  • যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচ শরিয়তপুর এর অন্যান্য বাস ছাড়ে।
  • গুলিস্তান থেকে বিআরটিসির বাস ছাড়ে। 

শরীয়তপুর বিআরটিসি বাস

★ ঢাকা টু জাজিরা পর্যন্ত ৩০০ টাকা।
★ ঢাকা টু শরীয়তপুর ও ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫০ টাকা।
# যে কোন প্রয়োজনে কল করুন ০১৭৪৩৭৮৭৫৪০
 
সতর্কতা:  বাস ভাড়া পরিবর্তনশীল, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বাস ভাড়া যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে । সংশ্লিষ্ট বাস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন। 

শরীয়তপুর জেলার বাস সম্পর্কিত এ পাতাটির তথ্য বিভিন্ন সুত্র থেকে নেয়া হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট বাস কর্তৃপক্ষ থেকে যাচাইকৃত নয়। 

আপনার মতামত দিন

×

Hello!

Click one of our contacts below to chat on WhatsApp

× How can I help you?