প্রতিষ্ঠাতা : অ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সী। মোহাম্মদ আলমগীর মুন্সী ১৯৮৪ সালে চিকন্দী সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক, ১৯৮৭ সালে নড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ইন্টার; পরে সেখান থেকেই ১৯৮৯ সালে বিএ, অনার্স (ব্যাচেলর অব আর্টস); ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেছে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিয়ে অ্যাডভোকেটের সনদপত্র লাভ করে। পরের বছর থেকে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে নিয়মিতভাবে আইন পেশায় আছে। শরীয়তপুর জেলা জজকোর্টের এখন সরকারি কৌঁসুলি। তিনি ‘শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশিং’-এর সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। স্ত্রী সানজিদা শারমিন রত্না গৃহিণী।
নামকরণ: অ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সীর বাবা ব্রিটিশ আমলের দশম শ্রেণি পাস। তাদের বাড়ী শরীয়তপুর সদর উপজেলার টাউন চিকন্দি গ্রামে। জেলা শহরের ১০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামেই ১৮৭২ সালে ব্রিটিশরা একটি চৌকি আদালত গড়েছিলেন। এখনো সেটি আছে। সেখানেই চাকরি করেছেন অ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সীর বাবা আইন উদ্দিন। তাদের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল; সমাজে সম্মানও ছিল খুব। জনাব আইন উদ্দিনকে লোকে ‘মুন্সি’ ডাকতেন। সেই ১৯২০ সালে হজ করে এসেছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষটি। এরপর থেকে তাদের পরিবারের পদবিই হয়ে গেল ‘মুন্সী’। এই মুন্সী পদবী ঘিরেই তাদের প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের নাম – মুন্সী ফাউন্ডেশন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: নিজ গ্রামের মানুষের সেবার ও দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য মুন্সী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফাউন্ডেশনটি গরিব ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বহন করে থাকে।
মুন্সী ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম:
২০১৯ সালে শরীয়তপুর সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ সড়কে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
শরীয়তপুরে মুন্সী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি। ২০১৯ শনিবার (১০ আগষ্ট) সকাল ১১টায় শরীয়তপুর সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ সড়কে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। এসময় মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শরীয়তপুর জজকোর্টের সরকারী কৌসুলী (জিপি) অ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, কলেজের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, এ্যাড. কাজী বশিরুল আলম, শরীয়তপুর অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও শরীয়তপুর জার্নালের সম্পাদক অ্যাড. মুরাদ হোসেন মুন্সী, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ উজ্জামান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুর সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ সড়কের দুই পাশে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন ঔষধী ও ফলদ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নেন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান অ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সী। দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য তিনি মুন্সী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান অ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখতেই আমি মুন্সী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। তারই অংশ হিসেবে আজকে শরীয়তপুর সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজ সড়কের দুইপাশে বিভিন্ন ঔষধী ও ফলদবৃক্ষ রোপন কর্মসুচি শুরু করেছি।
তথ্য সুত্র: (দেশ রুপান্তর) ও ( শরীয়তপুর জার্নাল)
আপনার মতামত দিন