ভাষা সৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা স্মৃতি গ্রন্থাগার
ঠিকানা: গ্রাম: পোড়াগাছা, ডাকঘর: মহিষখোলা, উপজেলা: নড়িয়া, জেলা: শরীয়তপুর।
ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলার স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য এ গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৯ সাল। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর তালিকাভূক্তিকরণ সনদ প্রাপ্ত হয় ২০১৩ সালের ০১ ডিসেম্বর। সনদ নং ০৮।
ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলার সংক্ষিপ্ত জীবনী:
(১৯২০-১৯৬৭) চিকিৎসক, ভাষা আন্দোলনের নেতা, রাজনীতিক। জন্ম ১৯২০ সালের ২০ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার পোড়াগাছা গ্রামে। তাঁর পিতা আলহাজ্ব আবদুল গফুর ঢালী এবং মাতা ছুটু বিবি।
গোলাম মাওলার শিক্ষা জীবন শুরু হয় জাজিরা উপজেলার পাচুখার কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩৯ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৪১ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৯৪৩ সালে বিএস.সি পাস করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূ-তত্ত্ব বিদ্যায় এমএসসি প্রথম পর্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৪৬ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন। দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন এবং ১৯৫৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্রাবস্থায় গোলাম মাওলা কলকাতায় মুকুল ফৌজের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ছিলেন নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনের সক্রিয় কর্মী। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
গোলাম মাওলা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ঐ বছরের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বার লাইব্রেরিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে ১৫০ নম্বর মুগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মশিবির অফিসে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় ২১ ফেব্রুয়ারি হরতালের মাধ্যমে রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন এবং ২১ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি পতাকা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গোলাম মাওলা বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ ঘোষণার পরপরই গোলাম মাওলার নেতৃত্বে মেডিক্যালের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র মিছিলে গুলিবর্ষণের পর আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণের জন্য আন্দোলনের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ রাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মিলিত হন। এ বৈঠকে ছাত্র সংগ্রাম কমিটি নতুনভাবে গঠিত হলে গোলাম মাওলা কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন।
মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণের যে যায়গায় প্রথম গুলি হয়েছিল ঠিক সে স্থানেই ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গোলাম মাওলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
ছাত্রজীবন শেষে গোলাম মাওলা মাদারীপুরে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হন। এ সময় তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। গোলাম মাওলা মাদারীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সালের উপ-নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য এবং ১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলের হুইপ ছিলেন।
চিকিৎসক হিসেবে গোলাম মাওলা ছিলেন মানবতাবাদী ও নিবেদিত প্রাণ। গরীব রোগীদের তিনি বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন। গোলাম মাওলা তাঁর উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই ব্যয় করেছেন সংগঠন ও সেবামূলক কাজে। গোলাম মাওলা ১৯৬৭ সালের ২৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।
গোলাম মাওলার স্মৃতি রক্ষার্থে নড়িয়া কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মিত সেতুটির নামকরণ হয়েছে ডাঃ গোলাম মাওলা সেতু এবং সম্প্রতি ঢাকার ধানমন্ডি ১ নম্বর সড়কের নতুন নামকরণ হয় ডা. গোলাম মাওলা সড়ক। গোলাম মাওলার গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সহ তার বাড়ী সামনের তার সড়কটি তার নামে করা হ।য়।
তথ্যসুত্র: বাংলাপিডিয়া।
১। শিশু, কিশোর-কিশােরী ও যুবক যে কোন বয়সের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা ।
২। নিয়মিত পত্রিকা ও ম্যাগাজিন রাখা এবং তাহা পাঠের ব্যবস্থা করা।
৩। বিদ্যালয় ও কলেজ সমূহের টেক্সই বই পড়ার সুযােগদান।
৪। বিভিন্ন সাহিত্য, কাব্য রচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বই পড়ার জন্য সংরক্ষণ করা।
৫। শিশুদের শিক্ষায় বেশী মনােযােগী হওয়ার জন্য চিত্রাংকন প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা করা।
৬। মান সম্মান শিক্ষার উন্নয়ন বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা ।
৭। উন্নত জাতি গঠণে শিক্ষার প্রসার ঘটানাে
। ৮। বিভিন্ন দিবসের তাৎপর্য তুলিয়া ধরা জন্য জাতীয় ও আন্তজার্তিক দিবস উদযাপন করা।
৯। বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করা।
১০। জনসংখ্যা সীমিত করণে দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা
১১। প্রাকৃতিক দুযাের্গ ক্ষতিগ্রস্থ জনগােষ্ঠীকে সচেতনতামূলক সেবা প্রদান করা।
১২। বিদ্যালয়ে ভর্তি হইতে উৎসাহিত করা।
১৩। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা।
১৪। তথ্য-প্রযুক্তি সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
১৫। দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
১৬। ইংরেজী ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার জন্য ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু করা।
১৭। শিক্ষামূলক বিনােদনের জন্য টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা করা।
১৮। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার স্থাপনে সহায়তা করা।
১৯। শিশু অধিকার, নারী অধিকার, ও মানবাধিকার রক্ষর জন্য শিক্ষা কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করা। ২০। সার্বজনিন শিক্ষাকে বেগবান কর।
![](https://shariatpurportal.info/wp-content/uploads/2022/04/Golam-maola-home.jpg)
![](https://shariatpurportal.info/wp-content/uploads/2022/04/vasa-Soinik-golam-maola-300x176.jpg)
![](https://shariatpurportal.info/wp-content/uploads/2022/04/ভাষা-সৈনিক-গোলাম-মাওলা-গণগ্রন্থাগার-লাইব্রেরীয়ান-পরিদর্শন-1024x617.jpg)
তথ্য প্রকাশের কাজ চলছে।
সভাপতি: আবদুর রহমান ঢালী
মোবাইল: 01731272123
ইমেইল: ardhali1958@gmail.com
ঠিকানা: গ্রাম: পোড়াগাছা, ডাকঘর: মহিষখোলা, উপজেলা: নড়িয়া, জেলা: শরীয়তপুর।
নাম | পদবী |
আবদুর রহমান ঢালী | সভাপতি |
মাস্টার নুরুল ইসলাম | সহ-সভাপতি |
গোলাম কিবরিয়া (রিপন) | সদস্য সচিব |
মোঃ মাসুদ মাদবর (মাস্টার) | কোষাধ্যক্ষ |
মোঃ মহসীন আলী | সদস্য |
ডি, এম, বরকত আলী (মুরাদ) | সদস্য |
মোঃ দেলোয়ার হোসেন আকন | সদস্য |
মোঃ শাহ আলম সরদার (মাস্টার) | সদস্য |
আপনার মতামত দিন