প্রাথমিক পরিচয়: সারা ভারতব্যাপী ফুটবলে যে কয়জন খেলোয়ার অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখেন গোষ্টপাল অন্যতম।
জন্ম: ১৮৯৬ সালের ২০ আগস্ট তিনি নড়িয়া জেলার ভোজেশ্বরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম শ্যাম লাল পাল। পিতা ঝালকাঠিতে ব্যবসা করতেন।
কর্ম জীবনঃ প্রথম জীবন থেকেই তিনি কোলকাতায় ফুটবল খেলেন। পরবর্তীতে তাঁর খেলার দক্ষতা এত উচুস্তরে পৌঁছে যে কোলকাতার মোহন বাগানের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে সেখানে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯১১ সালে তিনি মোহন বাগানের হয়ে বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে খেলেন। ১৯১৩ সালে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে তিনি শ্রীলংকা গমন করেন। গোষ্টপাল ফুল ব্যাকে খেলতেন। তাঁকে চাইনিজ ওয়াল বলা হত।

সুত্র: মমতা ব্যানার্জির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ
দি ইন্ডিয়ানফুটবলার্স নামক একটি বইতে গোষ্টপালের বিষয়ে লেখা রয়েছে “বাঙালী ফুটবলাদের মধ্যে সেরা ব্যাক। বাংলায় যতদিন ফুটবল খেলা হবে ততদিন গোষ্টপালের নাম অমর হয়ে থাকবে শক্ত সার্থক পেশীবহুল গোষ্টপালের মধ্যে যেমন ছিল হারকিউলিসের মত শক্তি, তেমনি বুলটোরিয়ানের মত গোঁ। পল্টনী খেলোয়ারদের বুট এবং খেলার নির্মাণ কৌশল গোস্টর কাছে ভয়ের কোন ব্যাপার ছিল না। ওঁর খেলার বৈশিষ্ট্য ছিল লম্বা কিক, নির্ভয় ট্রাকলিং, ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে তাড়া করা, বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে এবং নিঃশব্দে বল ছিনিয়ে নেয়া যা আজকাল দেখা যায় না”। গোস্ট পাল ১৯৩৫ সালে খেলা হতে অবসর নেন। ঐ সময় তার উপর খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিল – “বাঘের মত বিক্রম, সাপের মত তীব্র চেতনা, চিতার মত ক্ষিপ্রগতি, চীনের প্রাচীরের মত দূর্ভেদ্য”। টেনিস খেলায়ও তাঁর দখল ছিল। কোলকাতায় ময়দানে গোষ্টপালের একটি পাথরের আবক্ষ মুর্তি রয়েছে। এ প্রজন্মের খেলোয়াররা সেই মুর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতে বড় খেলোয়ার হবার অনুপ্রেরণা লাভ করে।
সম্মাননা ও স্বীকৃতি: ক্রীড়ায় তাঁর অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ভারত সরকার ১৯৬২ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করে।
মৃত্যুঃ ১৯৭৫ সালের ৮ এপ্রিল তিনি পরলোক গমন করেন।
আপনার মতামত দিন